সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই দুই চুক্তির অনুসমর্থনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ-কুয়েতের মধ্যে বিনিয়োগ চুক্তির অনুসমর্থন দেওয়া হয়েছে।
“এটা প্রোটো টাইপ চুক্তি; মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগে। এটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাহরাইনের সাথেও একই ধরনের চুক্তি অনুমোদিত হয়েছে। ”
দুটি চুক্তিই দ্বিপক্ষীয় পুঁজি বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি বলে জানান শফিউল আলম।
“উভয়টা দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ চুক্তি। এটার নাম দেওয়া হয়েছে দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তির অনুসমর্থন। চুক্তি দুটি এরই মধ্যে সই হয়ে গেছে। যে কাজটা করা হয়েছে, সেটাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এই চুক্তি চূড়ান্ত হলে কুয়েত ও বাহরাইনের শিল্প উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশের উদ্যোক্তরাও চাইলে দেশদুটিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
“কুয়েত ও বাহরাইনের শিল্পপতি বা উদ্যোক্তা যারা, তারা এখানে সহজেই আসতে পারবেন। এটার লিগ্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট বা ফ্রেইমওয়ার্ক এই চুক্তির মাধ্যমে হয়ে গেল। আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা কুয়েত বা বাহরাইনে চাইলে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ”
বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কুয়েত-বাহরাইনে বিনিয়োগের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে এক প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, “এই দুই দেশের ক্ষেত্রে বিদেশে বিনিয়োগে কোনো বাধা থাকল না।”